পটুয়াখালীতে গলায় ফাসি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে গলায় ফাসি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় সেকান্দার হাওলাদার এর ছেলে শহিদুল হাওলাদার (৩৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডভূক্ত সেকান্দার হাওলাদার এর বাড়িতে।পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
 
জানা গেছে, ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিনের মত রাস্তায় পায়চারি (ব্যায়াম) করতে বের হওয়া স্থানীয় এছাহাক মাষ্টার রাস্তার পাশে ঘর থাকার সুবাদে দেখতে পান ঘরের পিছনে পুকুর পাড়ে বড়সর মোটা রেনডি গাছের সাথে গলায় ফাসি দেওয়া অবস্থায় শহিদুল ঝুলে আছে। পরে তার ডাক চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে আসে শহিদুলের মা বাবা ভাইসহ স্ত্রী পুত্র। ঘরের পিছনে খোলা জায়গায় রেনডি গাছের সাথে ফাসি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় শহিদুলের লাশ দেখে পরিবারের ডাক চিৎকারে এক এক করে  আসতে থাকে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা জানান, শহিদুল এর মাথায় অনেক সমস্যা  অনেক দিন ধরে। রাস্তা ঘাটে দৌড়াদৌড়ি করে আর মানুষকে আবোলতাবোল বকাজকা করতো। কারো সাথে কখনও ওর বিরোধ দেখিনি।
 
এদিকে আবার নাম না বলা শর্তে অনেকেই বলেন, ওরা ৫ ভাই। তার ভীতর শহিদুল ৪ নাম্বারে। শহিদুল যদি আত্মহত্যা করে তাহলে অতবড় মোটা গাছে কিভাবে লুঙ্গি পেচিয়ে ( কাছা ) ছাড়া উঠে এবং গলায় ফাঁস দিলে অবশ্যই তারা চোখে বা জিহ্বা বের হবে কিন্তু কোনটাই দেখা যাচ্ছে না। আমরা জানিনা আল্লাহ ভালো জানেন। শহিদুল এর বৃদ্ধ বাবা সেকান্দার হাওলাদার জানান, আমার ৫ ছেলের মধ্যে শহিদুল একটু পাগল টাইপের ছিল। মাথায় অনেক সমস্যা ছিল। একদন্ড ঘরে থাকতো না। কিন্তু ছেলে আমার কেন ফাসি দিল জানিনা।
 
এব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তনন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যুর  ব্যাপারে এখন নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।